এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ কর্তৃক ০২ জন ছিনতাইকারীসহ
ছিনতাইকৃত ০১টি মোবাইল ফোন, নগদ ৩৮০০/- টাকা ও ছিনতাইকারী কাজে ব্যবহৃত ০১টি প্রাইভেটকার আটকঃ
কামাল হোসেন (৩৬), পিতা-মৃত আব্দুল মান্নান, মাতা-আফিয়া বেগম, সাং-মনোহরপুর, থানা-সুনামগঞ্জ সদর, জেলা-সুনামগঞ্জ, তিনি জিন্দাবাজার (প্যারিস রেষ্ট হাউজ হোটেল এর কর্মচারী) তিনি প্রতিদিনের ন্যায় কাজে শেষে গত ২৯/০৭/ ২০২৫খ্রিঃ রাত আনুমানিক ৯.০০ ঘটিকায় হোটেল থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে পূর্বপরিচিত ব্যক্তি তামিম তাকে বেড়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে মোটরসাইকেলে উঠায় এবং পরে হাউজিং এস্টেট ৮নং লেন এলাকা থেকে প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-১২-৬৪৭৯) তে উঠায়। প্রাইভেটকারে থাকা ৪ জন ব্যক্তি তাকে সালুটিকর ব্রিজের দক্ষিণ পাশে নিয়ে গিয়ে কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার নিকট থাকা মোবাইল ফোন (মডেল: VIVO 30, মূল্য: ৫০,০০০/- টাকা) ও নগদ ৩৮০০/- টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে আসামিরা কামাল হোসেনকে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সালুটিকর থেকে বাইপাস হয়ে বাইশটিলা এলাকায় যাওয়ার পথে স্থানীয় বাজারে উপস্থিত জনতা দেখে কামাল হোসেন শোরচিৎকার দিলে লোকজন তাদের গাড়ীকে ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে কামাল হোসেন সিলেট গ্র্যান্ড সিলেট এর সামনে পৌঁছালে কৌশলে প্রাইভেটকারের জানালা দিয়ে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ০২ জন ছিনতাইকারীকে প্রাইভেটকারসহ আটক করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী হলোঃ ১। সাইফুল ইসলাম (২৫), পিতা-আব্দুল হক, সাং-রানীগঞ্জ, থানা-জগন্নাথপুর, জেলা-সুনামগঞ্জ, বর্তমান সাং-সেনপাড়া, শিবগঞ্জ, বাসা নং-পুস্পা-১১২, থানা-শাহপরাণ(রহঃ), জেলা-সিলেট, ২। লিমন আহমদ জয় (২৬), পিতা-জাহাঙ্গীর আলম, সাং-গৌরীনগর, থানা-কোম্পানীগঞ্জ, জেলা-সিলেট, বর্তমান সাং-বাসা নং-প্রান্তি-২৪, সুবিদবাজার, থানা-এয়ারপোর্ট, জেলা-সিলেট।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার মামলা নং-২০, তাং-৩০/০৭/২০২৫খ্রিঃ, ধারা-৩৯৪ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু হয়। ধৃত আসামীদ্বয়কে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।