• রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে -ডা. শফিকুর রহমান এম সি কলেজ ছাত্র দলের আহবায়ক ছাত্র নেতা সেলিম আহমদ সাগর পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ঈদ আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ঐক্যের বন্ধন শক্তিশালী করে-জোসেফ আলী চৌধুরী সিলেটবাসীকে আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন এর ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা হবিগঞ্জ বাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মো শাহজাহান আলী পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাহসিনা রুশদীর লুনা সিলেটবাসীকে মাওলানা হাবিবুর রহমানের ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা সিলেটবাসীকে এডভোকেট জুবায়েরের ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা সিলেটে জামায়াত নেতা শিহাব হত্যা মামলায় প্রধান আসামী সহ আটক ২ দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান

গোয়াইনঘাটে আওয়ামিলীগ এর পুর্ণগঠনে এডভোকেট জামাল উদ্দিনের তৎপরতা:

Reporter Name / ১৫৭ Time View
Update : রবিবার, ১১ মে, ২০২৫

গোয়াইনঘাটে আওয়ামিলীগ এর পুর্ণগঠনে এডভোকেট জামাল উদ্দিনের তৎপরতা:
—————————————-
৫ জুলাই ছাত্র – জনতার গণবিপ্লবের মুখে পতিত স্বৈরাচারী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও বসে নেই স্থানীয় আওয়ামিলীগ এর লেসপেনসারেরা। জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের সকল নেতা কর্মী আত্নগোপনে থাকলেও সামাজিক সংগঠনের আড়ালে আওয়ামিলীগকে পুর্ণগঠনে সক্রিয় রয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামিলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক এপিপি এডভোকেট মোঃ জামাল উদ্দিন। দীর্ঘদিন মাষ্টারী পেশায় থাকলেও অবৈধ সরকারের আমলে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে রাজনীতিতে আত্নপ্রকাশ ঘটে। বিগত সময়ে আন্ত:দলীয় কোন্দলে উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হতে না পারলেও বর্তমানে উপজেলা সভাপতি পদ পাওয়ার আশ্বাসে ছদ্মবেশে সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে তিনি নেতা কর্মীদের সক্রিয় রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন। গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামিলীগ এর সভাপতি আসলাম উদ্দিন এবং প্রবাসে থাকা গোলাম কিবরিয়া হেলাল পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিস্ক্রিয় থাকলেও বসে নেই পতিত সরকারের প্রেতাত্না এডভোকেট মোঃ জামাল উদ্দিন।একাধিক বিশ্বস্থ সুত্র মারফত জানাগেছে লন্ডনে পালিয়ে থাকা জেলা আওয়ামিলীগ এর সভাপতি ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিমন্ত্রী মো:শফিকুর রহমান ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে প্রতিনিয়ত জুম মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেনন তিনি। গোয়েন্দা সূত্র এবং বিশেষ প্রযুক্তি দ্ধারা ইমেইল এবং মোবাইল নাম্বার ডিটেকশনের মাধ্যমে প্রবাসে পালিয়ে থাকা পতিত সরকারের নেতৃবৃন্দের সাথে ফোনালাপ ও একাধিক জুম মিটিংয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইতোমধ্যে সিলেট প্রদেশ চাই আন্দোলনের নামে সামাজিক আন্দোলনের যাত্রা শুরু করেছেন এবং যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে আওয়ামিলীগ এর নেতৃবৃন্দ নিয়ে গোপন তৎপরতা শুরু করছেন। এই সংগঠনের আড়ালে পুরানলেনে অবস্থিত নিজের ভাড়া বাসা এবং টিলাগড়ে একটি বাসায় একাধিক মিটিং করেছেন। এসব মিটিংয়ে বর্তমান সরকারকে কিভাবে বেকায়দায় ফেলানো যায়, আওয়ামিলীগকে পুর্ণগঠন করা যায় এবং শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত থাকা একজনের বরাত দিয়ে বলা হয় এডভোকেট মোঃ জামাল উদ্দিনের সাথে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র ‘ এর কয়েকজন সদস্যের সরাসরি যোগসাজস রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গোপন তৎপরতার মাধ্যমে সিলেট থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু একটা ঘটাতে পারেন। এই কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য প্রাথমিকভাবে সামাজিক প্লাটফর্মকে বেচে নিয়েছেন তিনি। বিগত সরকারের আমলে দৃশ্যমান কোন তৎপরতা না থাকলেও জৈন্তিয়া কেন্দ্রীয় পরিষদ নামে একটা সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে গত ২৬ এপ্রিল ‘২০২৫ গ্যাসের দাবীতে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কয়েক’শ আওয়ামী নেতা কর্মীদের নিয়ে মানববন্ধন করেন, র‍্যালি করেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে গোয়েন্দা নজরদারি ফাকি দিয়ে পুলিশের অনুমতি ব্যতীত সিলেটের নজরুল একাডেমিতে আওয়ামিলীগের প্রায় ‘শ খানিক নেতাকর্মী নিয়ে গোপন সভায় সিলেটকে অস্থিশীল করার ছক আকেন। নিজেকে উক্ত সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা দাবী করে বক্তব্য প্রদান করেন এবং আওয়ামীপন্থী মিডিয়া কর্মী দ্ধারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করেন। অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যম উনার পদবী জানেনা এবং গোপন তৎপরতার বিষয়ে না জেনেই সামাজিক দায়বদ্ধতা বিবেচনায় সংবাদ প্রচার করে। এদিকে গোয়াইনঘাট এসোসিয়েশন নামে আরেকটি সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে বিগত ১৯ এপ্রিল ‘২০২৫ সিলেটের জিন্দাবাজারস্থ হোটেল গোল্ডেন সিটিতে প্রকাশ্যে সভা করেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ রানা কানাডায় চলে যাওয়া এবং দীর্ঘদিন থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম নিস্ক্রিয় থাকলেও এডভোকেট মোঃ জামাল উদ্দিনের প্রচেষ্টায় হুট করে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সংগঠনের কমিটিতে রয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান এম নিজাম উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শাহাব উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছয়ফুল আলম আবুল, পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সহ ডজন খানিক আওয়ামিলীগ এর নেতৃবৃন্দ। তিনি এই প্রোগ্রামে নিজেকে উপদেষ্টা হিসেবে সভায় উত্তাপন করেন এবং সবাইকে সুসংগঠিত করেন। অনুসন্ধান করে জানা যায় উপজেলা বিএনপির প্রবীণ কিছু মুরব্বী এবং বিএনপি -,জামায়াত এর স্থানীয় কিছু কর্মীদেরকে ব্যবহার করে নিজ দলের লোকদের জড়ো করা পুর্ণবাসন করাই হচ্ছে জামাল উদ্দিনের মুল লক্ষ্যে ।
উনার এসব কর্মতৎপরতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। তীব্র সমালোচনা করে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা মদরিছ আলী ,সিলেট জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী ও বর্তমান সরকারের এপিপি এডভোকেট লিয়াকত আলী, উপজেলা পেশাজীবি নেতা বিলাল উদ্দিন, মো:আব্দুর রউফ, সিলেট জেলা বৈষ্যম্য বিরোধী আন্দোলনের অগ্রসৈনিক ও জেলা এনসিপি নেতা আব্দুর রহিম সহ কয়েকশ আইডি থেকে সমালোচনা করা হয়। নিজ নিজ ফেইসবুক আইডিতে নেটিজেনরা এডভোকেট মোঃ জামাল উদ্দিনের গোপন তৎপরতা বন্ধ, ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মা হিসেবে দ্রুত গ্রেফতারের দাবীও জানান। উল্লেখ্য ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্ররোচনায় এডভোকেট জামাল উদ্দিন ও কোর্ট পয়েন্টে প্রকাশ্যে মাঠে ছিল এবং সিলেটের সাংবাদিক তুরাব হত্যার সাথে জড়িত। তাছাড়া সোনার হাট সীমান্তে বিজিবি ক্যাম্পে এডভোকেট মোঃ জামাল উদ্দিন এর নির্দেশে বিজিবি জনতার উপর গুলি করে। মানুষ হত্যার হুকুমদাতা হিসেবে সে কাজ করেছে। সে
২০১৮ সালের নির্বাচনে নিজ বাড়ী গোরাগ্রাম ভোট কেন্দ্রে রাত্রের অন্ধকারে ভোট দিয়ে কান্ত হয় নি বরং দিনের বেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গোন্ডা বাহিনী দ্ধারা বিএনপিপন্থী ভোটারদের উপর হামলার হুকুম দিয়েছিল। এছাড়া মনরতল বাজার ভোট কেন্দ্রে জামাল উদ্দিনের নির্দেশে হামলা করা হয়। বিএনপির অসংখ্য নেতা কর্মীদের আহত ও পঙ্গু করা হয়। আবার পুলিশ দিয়ে ধরে এনে থানায় পা উপরে রেখে লটকিয়ে পিটানো হয় বিএনপির কর্মীদের। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের রাত্রে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো:জসিম উদ্দিনকে ধরে এনে এডভোকেট মোঃ জামাল উদ্দিনের নির্দেশনায় হাত পা বেধে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। পুর্ব আলীর গাও, সারিঘাটের নাজমুল এবং তার দুই ভাইয়ের উপর নৃশংসভাবে হামলা করা হয়। বাদ যায় নি ডৌবাড়ী ও ফতেহপুর ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্র গুলো। রাতের আধারে ভোট প্রদান এবং দিনের বেলা পুলিশ ও ছাত্রলীগ দিয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের উপর হামলা এবং পরবর্তীতে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতারের মুল মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এডভোকেট মোঃ জামাল উদ্দিন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া এবং গ্রেফতার না করার ব্যাপারে ক্ষুদ্ধ বিএনপির ভুক্তভোগী কর্মীরা। সে এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে গোপন তৎপরতায় লিপ্ত, আর বিএনপির অসহায় কর্মীরা মিথ্যা মামলার হাজিরা দিতে কোর্টে কোর্টে হচ্ছে। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। তাকে পেছন থেকে কারা পুর্ণবাসন করছে, এসব বিষয় নিয়ে সন্দেহের দানা বাধছে। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় রয়েলটি টেক্স,বালু, টেক্স, ইন্ডিয়ান গরু টেক্স,চোরাচালান থেকে শুরু করে সব ধরনের অবৈধ সুযোগ সুবিধা সে ভোগ করেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাবস্থায় উপজেলা সদরে সমিতির টাকা দিয়ে জমি কিনলেও দলের প্রভাব ও ক্ষমতা দেখিয়ে পরবর্তীতে নিজ নামে দলীল করে উক্ত জায়গা আত্নসাৎ করে সেখানে ভবন করেছে। এটা নিয়ে সমিতির একাধিক নেতা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এতদিন ভয়ে মুখ না খুললেও এখন বলতে শুরু করেছেন।
সর্বশেষ ৫ আগস্ট এর আগ পর্যন্ত সে উপজেলা থেকে রয়েলটি টেক্স সংগ্রহ করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। আওয়ামিলীগ সরকারের বিগত ১৬ বছর বছরে রয়েলটি টেক্স, বালু টেক্স, খনিজ টেক্স, পাথর কোয়ারী টেক্স, বাজার টেক্স, ভারতীয় গরু চোরাচালানের টেক্স, মাদক থেকে শুরু করে এমন কোন অপরাধ নেই অপরাধ সম্রাট জামাল উদ্দিন করে নি। সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ এর প্রকাশ্যে মদদে নারী ও শিশু বিষয়ক কোর্টের এপিপি থাকাবস্থায় কালো কোর্টের আড়ালে অসংখ্য অসঙ্গতি ও অর্থ বাণিজ্যের তথ্য পাওয়া গেছে। এহেন পরিস্থিতিতে সকল ডেভিল জেলের ভেতর থাকলেও এডভোকেট মোঃ জামাল উদ্দিনের মতো ব্যক্তিরা সামাজিক সংগঠনের আড়ালে গোপন তৎপরতায় লিপ্ত থাকলে একদিন সরকারকে বড় ধরনের ক্ষতি পোহাতে হবে বলে অনেকেই আশংকা করছেন। তাই উক্ত ডেবিলকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত না করলে সরকারকে গঙাজলে সাতার কাটতে হবে। ভেস্তে যাবে জুলাই বিপ্লবে শহীদের রক্ত।
বার্তা প্রেরক
শামসুজ্জামান জামান
১১/৫/২৫


More News Of This Category
bdit.com.bd