প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সরকারি ভূমি বন্দোবস্ত বাতিলের
দাবীতে কানাইঘাটে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ
মুফিজুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার: কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ভাটিবারাপৈত ও সাতবাঁক ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আন্দুবিল জলমহালের সরকারি (ভ‚মি) বন্দোবস্ত বাতিলের দাবীতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। গত ২২ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে, আন্দু জলমহালের সরকারি শ্রেণি পরিবর্তন করে ২’শ বিঘা জমি প্রভাবশালী লোকজনদের ভ‚মিহীন সাজিয়ে বন্দোবস্ত প্রদান করার তা বাতিলের দাবীতে এলাকাবাসীর পক্ষে ভাটিবারাপৈত গ্রামের ইয়ারিছ আলী চৌধুরীর ছেলে আজমল হোসেন রানা চৌধুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ভাটিবারাপৈত গ্রামের মৃত শফিকুল হকের পুত্র স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কানাইঘাট বাজারের রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী মাহমুদ হোসেন ও তার স্ত্রী মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী রওশনা বেগম সহ আরো ১৫/২০ জন শত শত বিঘা জমির মালিক হওয়া সত্তে¡ও নিজেদের ভ‚মিহীন উল্লেখ করে জাল-জালিয়াতি, অসাধু পন্থায় আন্দু বিল জলমহালের ভাটিবারাপৈত মৌজার অর্ন্তভুক্ত সরকারি ২’শ বিঘা জমি বন্দোবস্ত নেন। যা এলাকার লোকজন কেউ জানতে পারেনি। সম্প্রতি বন্দোবস্তকৃত ভ‚মিতে ফেলোডার ও স্কেভেটর নিয়ে মামুন হোসেন গংরা সরকারি খালের মুখ বন্ধ করে মাটি ভরাট শুরু করলে এলাকার সর্বস্তরের লোকজন বাঁধা প্রদান করেন। একপর্যায়ে থানা পুলিশ এসে অবৈধপন্থায় মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, মাহমুদ হোসেন ও তার স্ত্রী রওশনা বেগম সহ যাদের নামে সরকারি আন্দু জলমহালের ভ‚মি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে তারা কেউ ভ‚মিহীন নয়, তাদের প্রচুর জমিজমা রয়েছে। এলাকায় মানুষের গরু-মহিষ চরানোর সরকারি ভূমি পানি নিষ্কাসন এবং সরকারি কালভার্ট ও পাকা রাস্তা থাকা সত্তে¡ও কিভাবে আন্দু জলমহালের ভ‚মি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে তা সঠিক তদন্ত করে সরকারি ভ‚মির বন্দোবস্ত মামলা নং- ৩৩, তারিখ- ২০১৪-২০১৫ইং সনের কবুলিয়ত নং- ৬৮৯২ বাতিল করার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
দরখাস্তকারী আকমল হোসেন রানা চৌধুরী সহ স্থানীয় আরো অনেকে জানান, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আন্দু জলমহালের ভ‚মি বন্দোবস্ত দেয়ায় তা বাতিলের জন্য ভ‚মি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, জেলা প্রশাসক সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে তারা শীঘ্রই লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন।
বন্দোবস্তকারীরা যাতে করে অবৈধভাবে ফেলুডার ও স্কেভেটর দিয়ে ভ‚মির পরিবর্তন করতে না পারে এজন্য প্রশাসনের নজরদারির দাবী জানান। উপজেলা ভ‚মি অফিস সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে।