• রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন

যুদ্ধ বিরতিতে স্থল ভাগে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয় ইউক্রেন

Reporter Name / ৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

যুদ্ধ বিরতিতে স্থল ভাগে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয় ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১১ মার্চ ২০২৫, ১৫:১৯
রাশিয়ার সঙ্গে স্থলভাগে যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয় ইউক্রেন
রাশিয়ার সঙ্গে আকাশ ও নৌপথে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও স্থলভাগে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায় ইউক্রেন। কারণ কিয়েভের আশঙ্কা, সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হলে রাশিয়া নিজের সেনাদের পুনরায় সংগঠিত করে ফের হামলা চালাবে।

বিজ্ঞাপন

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির দপ্তরের চিফ অব স্টাফ সারহিয়ে লেশচেঙ্কো সোমবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে জানিয়েছেন এ তথ্য।

ভাষণে লেশচেঙ্কো বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত কোনো পরিকল্পনা আমাদের আছে কি না। জবাবে আমরা বলেছি যে আমাদের একটি পরিকল্পনা রয়েছে এবং সেই পরিকল্পনা অনুসারে আমরা নৌ ও আকাশপথে যুদ্ধবিরতি চাই। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিতে প্রস্তুত যে নৌ এবং আকাশপথে রুশ বাহিনীর ওপর হামলা চালানো হবে না। এমনকি রাশিয়া ও ইউক্রেনের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বিষয়ক স্থাপনাগুলোও আমরা হামলার আওতামুক্ত রাখতে চাই।”

বিজ্ঞাপন

“কিন্তু স্থলভাগে কোনো যুদ্ধবিরতি নয়। কারণ সেক্ষেত্রে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে পুতিন রুশ সেনাবাহিনীকে সংগঠিত করে ফেলবেন এবং ফের ইউক্রেনে হামলা চালাবেন।”

আরও পড়ুন

ইউক্রেনে অভিনব যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ম্যাক্রোঁর
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তির নথি তৈরির কাজ চলছে : রুবিও
দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম কাজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা: ট্রাম্প
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত : যুদ্ধবিরতির সংলাপ শুরুর পক্ষে ন্যাটো
বিজ্ঞাপন

ভাষণে তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ইউক্রেনীয় বাহিনীর যত সেনা নিহত হয়েছেন— তাদের ৭০ ভাগই প্রাণ হারিয়েছেন রুশ বাহিনীর ড্রোন হামলায়।

ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পালন না করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের কিয়েভের তদবিরের জেরে কয়েক বছর টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

গত তিন বছরের যুদ্ধে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসন— ইউক্রেনের এই চার প্রদেশের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছে মস্কো।

এদিকে, এ যুদ্ধের শুরু থেকে ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় ওয়াশিংটন থেকে শত শত কোটি ডলারের সহায়তা নিয়েছে কিয়েভ।

তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদান বন্ধ করা এবং যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ শুরু করার পর থেকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না কিয়েভের। সোমবারের ভাষণে লেশচেঙ্কোও এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

“মার্কিন সহায়তা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু ততটা নয় যে যুদ্ধবন্ধের জন্য ওয়াশিংটন ইউক্রেনের জাতীয় স্বার্থের প্রতিকূল কোনো শর্ত নির্ধারণ করে দেবে এবং আমরা তা বিনা বাক্যে পালন করব,” ভাষণে বলেন লেশচেঙ্কো।


More News Of This Category
bdit.com.bd