• রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন

পিকনিকে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পার্ক কর্মচারীদের সংঘর্ষ, আহত ৩০

Reporter Name / ৩০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


উপজেলা প্রতিনিধি
সাভার (ঢাকা)
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০১
পিকনিকে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পার্ক কর্মচারীদের সংঘর্ষ, আহত ৩০
ঢাকা ধামরাইয়ে আলাদীনস পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্রে পিকনিকে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোবাইল হারানোকে কেন্দ্র করে পার্কের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের সিতিপাড়া এলাকায় আলাদীনস পার্কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুর থেকে বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে আলাদীনস পার্কে প্রবেশ করে।

বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাকিবাল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন,‘ আমরা প্রায় দেড়শ জন শিক্ষার্থী পিকনিকে ধামরাইয়ের আলাদীন পার্কে এসেছিলাম। দুপুরে আমরা সুইমিং পুলে গোসলের জন্য নামি। এসময় আমাদের শিক্ষার্থীদের মোবাইল ও মানিব্যাগ লকারে রাখা হয়। কিন্তু গোসল শেষে লকারে গিয়ে দেখি কয়েকটি মোবাইল ফোন নেই। এতে আমরা লকারের দায়িত্বে থাকা লোকের খোঁজ করি। কিন্তু প্রায় এক ঘণ্টা পর সেই লকারের লোককে খুঁজে পাই। তবে আমাদের মোবাইল পাওয়া যায়নি। পরে বিকেলে তাদের সঙ্গে কথা বললে পার্কের স্টাফরা উত্তেজিত হয়ে আমাদের ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করে।

বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজের গণিতের শিক্ষক শরীফুল বলেন, পার্কের লকার থেকে আমাদের শিক্ষার্থীদের মোবাইল চুরি হয়ে যায়। এর জের ধরে আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পার্কের লোকজনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে আমাদের অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে দিকে পার্কের ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি, রড় ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। পিকনিকের বাসে ভাঙচুর ও মেয়ে শিক্ষার্থীদেরও মারধর করেছে। পরে আমাদের শিক্ষার্থীদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

অপরদিকে আলাদীনস পার্কের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা নকিবুল হাসান রনি বলেন, স্কুল থেকে সকালে পিকনিকে এসেছিল। ঘটনা দুইবার ঘটেছে, দুপুরে একবার, বিকেলে একবার। দুপুরে মীমাংসা হওয়ার পরে বিকেলে যাওয়ার সময় সব কিছু ভাঙচুর করে গেছে। মূলত এখানে মোবাইল হারানোর মতো কিছু হয়নি। এখানে ১০০টি লকার আছে, হয়তো অন্য চাবি দিয়ে অন্য লকার খুলেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে আমাদের স্টাফকে মারধর করে পিকনিকে আসা শিক্ষার্থীরা। পরে আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে বসে এটা মীমাংসা করে দেই। এরপরে আবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা পার্ক থেকে যাওয়ার সময় ভাঙচুর ও স্টাফদের মারধর করে। এসময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি ছিল বলে জানান তিনি।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিনোদন কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্টাফদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মূলত মোবাইল হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পার্কে ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা। পরে স্টাফদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।


More News Of This Category
bdit.com.bd