তথ্য সুত্রে দেখা যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলা হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী গতকাল হাট বাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তী প্রকাশ করেন। এদিকে, ১ দিন পরেই পুনরায় আজকে আবার পীরবাজারের সাথে গরু বাজার সহ বাতিল করে শুধু পীরবাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তী প্রকাশ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের গোয়াইনঘাটে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে। এটা কেন এবং কারা এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত? এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সচেতন মহলে।
জানা যায়, গোয়াইনঘাটের পীরবাজার ওরফে গরুর ঘাট বাজারটি বেশ পুরাতন একটি বাজার। এক সময় এই বাজারের নাম ছিল গরুরঘাট বাজার। রুস্তমপুর ইউনিয়ন এর একমাত্র বাজার এটি। কিন্তু এই গরুর ঘাট বাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তীতে গরুর বাজার সহ নেই। উল্লেখ করেও ১দিন পরেই তা আবার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বাজারের সাথে গরু বাজার ইনক্লোড থাকলে গরু বাজার জমে উঠবে এবং বিকি কিনি যতেষ্ট হবে। এমনটাই মতামত পীরবাজার ব্যবসায়ীদের। ইজারা বিজ্ঞপ্তীতে “গরু বাজার সহ ” কথাটি যোগ করার দাবী তাদের। ইহা লেখা না থাকার কারণে বাজার দিন গরুর হাট বসে না এখানে। ফলে জন সমাগম কম হয় এবং বাজার জমে উঠে না। ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত বিকি কিনি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
বাজারটি ইজারা নিতে আগ্রহী স্থানীয় ব্যক্তি শাহীনুর রহমান শাহীন ও শাহ জামান চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, এই ষড়যন্ত্রের সাথে তোয়াকুল বাজার সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ও অফিসের ঘুষখোর অসাধু কর্মকর্তা/ কর্মচারী কেউ হয়ত জড়িত। পীরবাজার এখানে যাতে গরু হাট না বসে এবং তোয়াকুল গরুর বাজার যাতে একচেটিয়া এই ব্যবসা করতে পারে, সেই সুবিধা নিতে এই অন্যায় করা হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। তারা অবিলম্বে পীর বাজার (গরু বাজার সহ) লিখে পুনরায় দরপত্র প্রকাশের দাবী জানান।