• শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিলেটবাসীর জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই ——মাওলানা হাবিবুর রহমান সিলেট-১ আসনে মাওলানা হাবিবুর রহমানকে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা সাংবাদিকদের কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য করবেন না: বিএমএসএফ ঢাকায় অনুষ্টিতব্য সমাবেশ সফলে সিলেট জেলা যুবদলের ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা অতিরিক্ত আইজিপি হওয়ায় সহকর্মী সহ সভার ভালোবাসা এস এম পি কমিশনার শ্রমিক মজলিস সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার ২০২৫-২০২৬ সেশনের কমিটি গঠন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বুরহানউদ্দিন রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি আলিফ উদ্দিনের বিভক্তির রাজনীতি দেশের জন্য আত্মঘাতী হবে —মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম আমরা এমন এক সমাজ কায়েম করতে চাই, যেখানে কোন ভেদাভেদ থাকবে না- ডা.শফিকুর রহমান

ফুলবাড়িয়ার কৃষি ফসলি উর্বর জমির মাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইট ও টাইলস : ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক

Reporter Name / ৩১১ Time View
Update : রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

মোঃ সাবিউদ্দিন: ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের ফসলের মাঠ থেকে ফসলি উর্বর জমির মাটি অবৈধ ভাবে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার ইট বাটা এবং টাইলস কোম্পানিতে, অসাধু ব্যবসায়ীরা অল্প দিনে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।

ফসলি উর্বর জমির মাটি অবৈধ ভাবে কতিপয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সাধারণ কৃষকদের অল্পকিছু(নাম মাত্র) টাকা দিয়ে, বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে ইট বাটা এবং সিরামিকস ও মেলামাইন কোম্পানিতে।

কোন সময় সরকারি খাস জমিতেও বেকু গাড়ী ব্যবহার করে মাটি বিক্রি করতে দেখা যায়, এই মাটি কাটার যন্ত্র বিশাল আকারের বেকু গাড়ী, এই যন্ত্র সব জায়গায় ব্যবহারের অনুমতি না থাকলেও প্রশাসনের সামনে দিয়ে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে ব্যবহার চালিয়ে যাচ্ছে হরহামেশাই।

নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমির উর্বরতা, অনেক কৃষিবিদ ও কৃষি বিশ্লেষক এবং অভিজ্ঞ কৃষক জানিয়েছেন দেশে খাদ্য শস্য উৎপাদন কম হওয়ার মূলকারন হিসেবে মাটির উর্বরতা হ্রাস পাওয়ার কারন উল্লেখ করে বলা হয়েছে জমির উপরিভাগ সরে গেলে /কেটে নিলে জমির উর্বরতা অনেকটাই কমে যাবে এটাই স্বাভাবিক।

অথচ আইনে আছে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বরাবর আবেদন এন মাধ্যমে অনুমতি পত্র ছাড়া কোন প্রকার ফসলি উর্বর জমি, সরকারি খাস জমির মাটি খনন করা /মাটি বিক্রি করা বৈধ বলে গণ্য হইবে না।

গ্রাম অঞ্চলে অধিকাংশ রাস্তা কাচা থাকায় বেকু গাড়ীর ব্যবহার বাড়তে রাস্তা ঘাট ও পরিবেশের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। অথচ এই বেকু গাড়ী ব্যবহারে কারনে স্থানীয় সরকারের আওতায় ইউনিয়ন পরিষদের হত দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন করার লক্ষে ৪০ দিনের কর্মসূচি বিলুপ্ত প্রায়।

পূর্বে মাটি বিক্রি করেছে এমন কয়েকজন কৃষকদের সাথে কথা বললে জানা যায় সমতল উর্বর ফসলি জমির মাটির উপরের অংশ বিক্রির কারনে আগের মতো ফসল হয় নাই, আরও আক্ষেপ করে বলেন আগে যদি বুঝতাম তাহলে গাড়ী প্রতি ২০০ টাকার জন্য মাটি বিক্রি করতাম না।

কিছু সচেতন কৃষক এবং কৃষি কাজে সংযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানাযায়, যারা পূর্বে ফসলি জমির মাটি বিক্রয় করেছে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ, তাদের জমির আশ পাশের জমির অবস্থাও খারাপ, না বুঝে অল্প কিছু টাকার জন্য আমরা এই ভূল করবো না কারন এই জমিতে ফসল ফলিয়ে আমার খাদ্যের জোগান দিতে হয়।

আর যারা অবৈধ ভাবে ফসলি উর্বর জমির মাটি ইট বাটা এবং সিরামিক ওটাইলস কোম্পানিতে বিক্রি করে আসছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।


More News Of This Category
bdit.com.bd