দারুল ইসলাম মাদ্রাসায় ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস
——————————————————
ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের জোনাল চেয়ারম্যান জনাব আজাদ রাহমান সাহেবের নেতৃত্বে একটি টিম আজ ভিজিট করলেন দারুল ইসলাম মাদ্রাসা। মাদ্রাসা প্রধান জনাব মোঃ আব্দুল্লাহ সাহেব তাঁদেরকে নিয়ে মাদ্রাসা ঘুরে ঘুরে দেখান। অতঃপর মাদ্রাসায় জোহরের নামাজ শেষে ছাত্র শিক্ষক এবং ইবনেসিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মকর্তাবৃন্দ এক সংক্ষিপ্ত বৈঠকে মিলিত হন। মাদ্রাসা প্রধান ইবনেসিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের বহুমুখী অবদানের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে আর্ত মানবতার সেবাসহ শিক্ষা বিস্তারেও তাঁদের ভূমিকা তুলে ধরেন।
ইবনে সিনা প্রতি বৎসর অনেক অস্বচ্ছল অথচ মেধাবী ছাত্রদেরকে এমবিবিএস পড়াশোনার খরচ বহন করছে, এ মহান ভূমিকার কথা তুলে ধরে মাদ্রাসা প্রধান ইবনে সিনার বিস্তর প্রশংসা করেন। সাথে সাথে এই দাবি রাখেন যে, চিকিৎসকরা নিঃসন্দেহে আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন এবং যাবেন। তবে মানুষের আত্মার চিকিৎসক হচ্ছেন তাঁরা যারা কোরআন হাদিসের গভীর জ্ঞানে সমৃদ্ধ। তাই এ দেশের মাদ্রাসাগুলো থেকে মেধাবী ছাত্রদেরকে বাছাই করে করে দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিভিন্ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের ব্যাপারে ইবনে সিনা যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে। এভাবে দ্বীন সম্পর্কে যে সমস্ত বিশেষজ্ঞ লোকেরা তৈরি হবেন, তাঁরা আগামী দিনে এ জাতির পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবেন। তিনি আরো বলেন, ইবনে সিনা যদি এই পরামর্শ গ্রহণ করে, তবে যেনো আগামী দিনে দারুল ইসলাম মাদ্রাসা প্রথম পরামর্শদাতা হিসেবে এ ব্যাপারে অগ্রাধিকার পায়।
বক্তব্য রাখেন ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের জোনাল ম্যানেজার জনাব আজাদ রাহমান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইবনে সিনার কোন ব্যক্তি মালিকানা নেই। এটি একটি ট্রাস্ট। তিনি উদাহরণ হিসেবে চিকিৎসা সেবার কথা তুলে ধরেন। বলেন, চিকিৎসা সেবায় ইবনে সিনা ২৫% লাভ কম করে থাকে। এই টাকাগুলো আবার আর্ত মানবতার সেবায় খরচ করে। অন্যদিকে ইবনে সিনাকে আরো বিস্তার করার ব্যাপারে কাজ করে যায়।
মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে আসার পরে ইবনে সিনা টিম মাদ্রাসা প্রধানের অফিস কক্ষে যান এবং মাদ্রাসার কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৫০,০০০ টাকার একটি চেক মাদ্রাসা প্রধান হযরত মাওলানা ডাক্তার আব্দুল্লাহ সাহেবের হাতে তুলে দেন। জোহর নামাজের পরে মাদ্রাসা প্রধানের বাড়িতে দুপুরের খাবার গ্রহণ করা হয়। সার্বিক কার্যক্রমে মাদ্রাসা প্রধানের সহযোগী ছিলেন মাদ্রাসার প্রাক্তন সহকারী প্রধান এবং বর্তমান সিনিয়র ওস্তাদ হযরত মাওলানা আতাউর রহমান সাহেব।
নিচের ছবিতে গ্রামীণ পরিবেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার মূহুর্তের স্মৃতি সম্বলিত কিছু ছবি। মাদ্রাসা প্রধানের বাম পাশে রয়েছেন জোনাল ম্যানেজার আজাদ রহমান সাহেব। এছাড়া রয়েছেন অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ডানে এবং বামে।