• শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিলেটবাসীর জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই ——মাওলানা হাবিবুর রহমান সিলেট-১ আসনে মাওলানা হাবিবুর রহমানকে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা সাংবাদিকদের কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য করবেন না: বিএমএসএফ ঢাকায় অনুষ্টিতব্য সমাবেশ সফলে সিলেট জেলা যুবদলের ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা অতিরিক্ত আইজিপি হওয়ায় সহকর্মী সহ সভার ভালোবাসা এস এম পি কমিশনার শ্রমিক মজলিস সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার ২০২৫-২০২৬ সেশনের কমিটি গঠন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বুরহানউদ্দিন রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি আলিফ উদ্দিনের বিভক্তির রাজনীতি দেশের জন্য আত্মঘাতী হবে —মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম আমরা এমন এক সমাজ কায়েম করতে চাই, যেখানে কোন ভেদাভেদ থাকবে না- ডা.শফিকুর রহমান

তিন কোটি টাকা নিয়ে উধাও সম

Reporter Name / ১৯০ Time View
Update : শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

তিন কোটি টাকা নিয়ে উধাও সমবায়ের ‘ব্যাংক


প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,

আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এসিসিএফ) ব্যাংকের তালাবদ্ধ কার্যালয়ের সামনে ভুক্তভোগী কয়েক গ্রাহক। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। আজকের পত্রিকা
আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এসিসিএফ) ব্যাংকের তালাবদ্ধ কার্যালয়ের সামনে ভুক্তভোগী কয়েক গ্রাহক। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। আজকের পত্রিকা

তিন শর বেশি গ্রাহকের প্রায় তিন কোটি টাকা নিয়ে সাদুল্লাপুরের এক ‘অবৈধ ব্যাংকের’ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আমানতকারীরা। ব্যাংকের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার নলডাঙ্গার আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এসিসিএফ) ব্যাংক এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।

এসিসিএফ ব্যাংক প্রথমে কিছুদিন আমানতকারীদের মুনাফা দিয়েছে। হঠাৎ গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এর কর্মকর্তারা। এখানে টাকা গচ্ছিত রাখা ব্যক্তিদের অনেকে স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ।

বেশ কয়েকজন আমানতকারীর অভিযোগ, ব্যাংকের নলডাঙ্গা শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল বারি, অ্যাকাউন্ট্যান্ট তাজুল ইসলাম ও সিনিয়র অফিসার বেলামিন হোসেন মিলে বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে আমানত সংগ্রহ করেন। মাস ছয়েক আগে থেকে তাঁরা মুনাফা দেওয়া বন্ধ করে দেন। এমনকি মূল আমানত চেয়েও পাওয়া যায়নি। তিন মাস ধরে শাখাটিই তালাবদ্ধ। ব্যবস্থাপকসহ শাখার কর্মীরা এলাকাছাড়া। উধাও হওয়ার পর কিছুদিন ফোনে কথা হলেও এখন আর তাদের কেউ ফোন ধরছেন না। উল্টো আমানতকারীদের নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গার ১ নম্বর রেলগেট এলাকার সৌদিয়া মার্কেটে আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের শাখা। এ প্রতিবেদক সম্প্রতি ওই শাখায় গিয়ে দেখেন, মূল ফটকে তালা ঝুলছে।

তালাবদ্ধ কলাপসিবল গেটের ভেতর দিয়ে দেখা যাচ্ছে টেবিল-চেয়ার ও কাচে ঘেরা ব্যবস্থাপকের কক্ষ। ভেতরে-বাইরে কোনো কর্মী নেই।

আমানত ফেরত নেওয়ার জন্য শাখা কার্যালয়ের সামনে বসে ছিলেন সর্বানন্দ গ্রামের ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বছর পাঁচেক আগে ৫ লাখ টাকা আমানত রেখেছিলাম। পরে কিছু কিছু করে টাকা তুলে নিই। তবে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা তারা আটকে দেয়। চাইলে তারা “দেই দিচ্ছি” বলে টালবাহানা করে। একপর্যায়ে ব্যাংক বন্ধ করে উধাও হয়ে যায়।’

এসিসিএফের হয়রানির শিকার পূর্বপ্রতাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফকরুল ইসলাম, বিজিবি সদস্য দিদারুল আলম, ব্যবসায়ী নাজমুল আলমসহ আরও অনেক আমানতকারী। তাঁরা ফোনেও ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাউকে পাচ্ছেন না।

ব্যাংকের শাখাটি যে ভবনে, সেটির মালিক মোত্তালেব হোসেন। তিনিও আর্থিক ক্ষতির শিকার। মোত্তালেব বলেন, ১০ মাসের ভাড়া বকেয়া রেখে এবং ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে উধাও হয়েছেন ব্যাংকের লোকজন।

ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক আব্দুল বারি ২০১৬ সাল থেকে এ শাখায় কর্মরত। এ বিষয়ে কথা বলতে দশলিয়া গ্রামের বাসায় গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কল ধরেননি।

এ বিষয়ে জেলা সমবায় অফিসার ফরিদ উদ্দিন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমবায় থেকে অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানোর কোনো এখতিয়ার নেই। আমরা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে গ্রাহকদের এ ব্যাংকে লেনদেনের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’

ফরিদ উদ্দিন সরকার আরও বলেন, এসিসিএফের ব্যাংকিং কার্যক্রম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। তবে নলডাঙ্গায় তারা গোপনে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়েছে, তা এ প্রতিবেদকের কাছে আজই জানতে পেরেছেন তিনি।


More News Of This Category
bdit.com.bd