স্পোর্টস ডেস্ক
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৪৬
তামিম ঝড়ের পর শরিফুলের জোড়া আঘাত, জমে উঠল ফাইনাল
চিটাগাং কিংসের বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা যেমন দরকার ছিল তেমনই পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাত্র ২৪ বলে সেঞ্চুরি করেছেন বরিশাল অধিনায়ক। তার ঝড় দেখে মনে হচ্ছিল বুঝি একপেশে একটি ফাইনাল জিততে চলেছে বরিশাল। তবে ইনিংসের নবম ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছেন শরিফুল ইসলাম।
বাঁ-হাতি এই পেসারের করা নবম ওভারটি ছিল চিটাগাংয়ের জন্য হালে পানি খুঁজে পাওয়ার মতো। এর আগপর্যন্ত তামিমের ব্যাটিং তাণ্ডবের সামনে পুরো চিটাগাং শিবির ছিল নীরব দর্শকের মতো। ওভারে নিজের প্রথম ডেলিভারিটি অবশ্য শরিফুল দিয়েছিলেন তামিমের পছন্দের জোনে। তাতেই বিলাসী শট খেলতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক। দলকে ভালো অবস্থানে নেওয়ার পথে তামিম ২৯ বলে এক ছক্কা ও ৯টি চারে ৫৪ রান করেন।
তামিমের বিদায়ে ভাঙে বরিশালের ৪৯ বলে ৭৬ রানের জুটি। চিটাগাংও প্রথম ইনিংসে ওপেনারদের কল্যাণে বিপিএল ফাইনালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১২১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিল। ফলে সমান জবাবই দিচ্ছিল তামিমের বরিশাল। তবে আরেকপ্রান্তে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারছিলেন না তাওহীদ হৃদয়। এরই মাঝে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিপদ বাড়ে শরিফুলের একই ওভারে ডেভিড মালান আউট হয়ে যাওয়ায়। তার বিরুদ্ধে এলবিডব্লুউ’র আবেদনে প্রথমে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তাতে রিভিউ নিয়ে সফল হয়েছেন চিটাগাংয়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭৮ রানে ২ উইকেট হারাল বরিশাল। জয়ের জন্য ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ৬৮ রানে আরও ১১৭ রান প্রয়োজন। বিপরীতে ৮ উইকেট প্রয়োজন চিটাগাংয়ের। এক্ষেত্রে অবশ্য নিয়ন্ত্রিত বোলিং–ও তাদের প্রথম শিরোপার স্বপ্ন পূরণ করে দিতে পারে। এর আগে ২০১৩ সালে প্রথমবার ফাইনালে উঠলেও, বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি হতাশা নিয়ে ফিরেছিল।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে চিটাগাং প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে। পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফি দুজনই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন। ইমন সর্বোচ্চ ৭৮ এবং নাফি করেন ৬৬ রান। এ ছাড়া শেষদিকে গ্রাহাম ক্লার্ক খেলেন ২৩ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও ইনিংস। যা চিটাগাংকে বিপিএলের ফাইনালে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৯৪ রানের পুঁজি এনে দেয়।