নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা
বঙ্গোপসাগারে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় বৃষ্টি শুরু, জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্কে উপকুলবাসী
বঙ্গোপসাগারে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় হালকা ও মাঝারি ধরনের ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই আকাশে মেঘাচ্ছন্ন থাকার পর দুপুর ১২টার পর থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। থেমে থেমে কখনো গুড়ো গুড়ো আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।
এর প্রভাবে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের সুন্দরবন-সংলগ্ন গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনীসহ বিভিন্ন স্থানেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এদিকে, জরাজীর্ণ বেড়ি বাঁধ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন উপকুলবাসী।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বুধবার এ গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘দানা’। উপকূলীয় অঞ্চলে ২ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দানার প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় সকালে আকাশ মেঘলা ছিল। এখন বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে।
শ্যামনগর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. শাহিনুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলার সরকারি ১০২টিসহ মোট ১৬২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনা খাবার মজুদ রাখা রয়েছে। জানমালের নিরাপত্তার জন্য ২ হাজার ৯৮০ জন সিপিপি সদস্য যার মধ্যে অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের শ্যামনগরে কর্মরত এসও প্রিন্স রেজা বলেন, শ্যামনগরে ৩৬০ কিলোমিটারের মতো বেড়িবাঁধ আছে। এর মধ্যে ছয়-সাতটি পয়েন্ট বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া বেশ কিছু এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে কাজ চলছে।
এ ছাড়া সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, পাউবো-১-এর আওতায় ৩৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে তিন কিলোমিটার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে, বড় ধরনের দুর্যোগ না এলে বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নেই।
সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম
01718016552
প্রকাশক ইলিয়াস আহমদ
+447506800616
Uk Office: London Road, Sheffield, UK.
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫