• শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১২:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিলেটবাসীর জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই ——মাওলানা হাবিবুর রহমান সিলেট-১ আসনে মাওলানা হাবিবুর রহমানকে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা সাংবাদিকদের কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য করবেন না: বিএমএসএফ ঢাকায় অনুষ্টিতব্য সমাবেশ সফলে সিলেট জেলা যুবদলের ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা অতিরিক্ত আইজিপি হওয়ায় সহকর্মী সহ সভার ভালোবাসা এস এম পি কমিশনার শ্রমিক মজলিস সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার ২০২৫-২০২৬ সেশনের কমিটি গঠন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বুরহানউদ্দিন রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি আলিফ উদ্দিনের বিভক্তির রাজনীতি দেশের জন্য আত্মঘাতী হবে —মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম আমরা এমন এক সমাজ কায়েম করতে চাই, যেখানে কোন ভেদাভেদ থাকবে না- ডা.শফিকুর রহমান

কলারোয়ায় হাবিবুল ইসলাম হাবিব এর পথ সভা

Reporter Name / ১২৪ Time View
Update : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

সাতক্ষীরা কলারোয়া প্রতিনিধিঃ

মোঃ হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায় ১৯৬৫ সালে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে মেধার স্বাক্ষর রেখে আসছিলেন। মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে উনার বিশেষ খ্যাতি ছিল। ১৯৮৩ সালে তিনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহ্যপূর্ণ বিভাগ পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি হোন। দেশ ও দশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার নেশা তাকে রাজনীতিতে টেনে আনে। শুরু হয় সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবন। 

তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র। পড়াশুনার পাশাপাশি নিজেকে নিযুক্ত করেন জাতীয়তাবাদী চেতনার আন্দোলনে। যোগ দিলেন ছাত্রদলে। ১৯৮৫ সালে তিনি ঢাকা ছাত্রদলের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। তার ই অংশ হিসেবে ১৯৮৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত হন।

পুরোদমে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততার কারনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্রদের কাছাকাছি দেখার সুযোগ পান। শুধু একটি রাজনৈতিক দলের হয়েই নয় বরং সাধারন ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তিনি ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক মুসলিম হলের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ঠিক তার পরের বছর তিনি ডাকসুর বিজ্ঞান মিলনায়তন সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সেসময় রাজপথ উত্তাল। সাধারন ছাত্ররা দেশকে স্বৈরশাসক থেকে মুক্ত করতে তৎপর। জনাব হাবিবুল ইসলাম হাবিব সফলতার সাথে সে আন্দোলনের নির্ভীক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির ভুমিকা পালন করেন। রাজপথে গুলিবিদ্ধ ও রক্তাক্ত হন যা ঐ আন্দোলনে ভিন্ন মাত্রা পায়। তার ই অংশ হিসেবে পরবর্তীতে ডঃ মিলন নিহত হন ও সেনা শাসক তখন পদত্যাগে বাধ্য হয়। দেশ ফিরে পেল গনতন্ত্র এবং সাধারন জনতা স্বৈরশাসনের লৌহ শৃংখল থেকে মুক্তি পেয়ে নিজেদের মতের স্বাধীনতা ফিরে পেল।

জাতীয়তাবাদী শক্তি আবারো জনগনের সমর্থনে দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলো। সেই সাথে সুসংঠিত হল ছাত্রদল। ১৯৯৩ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মনোনীত হোন এবং ১৯৯৪ সালে রিজভী-ইলিয়াস কমিটির ১নং সহসভাপতির দায়িত্বে আসীন হন।

 

ছাত্ররাজনীতিকে সংক্ষিপ্ত করে মন দেন স্থানীয় রাজনীতিতে। দেশের সর্ব দক্ষিন পশ্চিমের জেলা সাতক্ষীরা কে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন নিয়ে তিনি এলাকার স্থানীয় রাজনীতি শুরু করে। সুজলা সুফলা জনপদে তখনো জাতীয়তাবাদী দল ততটা শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি। তিনি দলকে সাংগঠনিক ভাবে মজবুত করেন। নিজ আসন সাতক্ষিরা ১ কে প্রতিনিধত্ব করার জন্য তরুন বয়সে ১৯৯৬ সালে সংক্ষিপ্ত মেয়াদে সাংসদ নির্বাচিত হন। পরবর্তী নির্বাচনে সাংসদ হতে না পারলেও চলতে থাকে তার দলীয় কার্যক্রম। ২০০০ সালে এস এস সি পরীক্ষার সময় পদদলিত হয়ে কয়েক জন এস এস সি পরীক্ষার্থী মৃত্যুবরন করেন। তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কলারোয়া উপজেলায় গিয়ে জনাব হাবিবের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হয়ে ধানের শীষের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেন।।।

২০০১ সালে পহেলা অক্টোবর বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। এলাকার নানা অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ইত্যাদিকে প্রাধান্য দেন এবং সর্বস্তরে সুনাম অর্জন করেন।। ২০০৩ সালে তিনি সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। দল কে সুসংগঠিত করা ছিল জনাব হাবিবের মূল উদ্দেশ্য। ২০০৯ সালে দলের কঠিন সময়ে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হন। নানা চড়ায় উতরাই পার করে পুলিশি ও বিরোধীদের হামলা মামলার শিকার হয়েও তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শ থেকে এত টুকুন পিছপা হন নি। বার বার তিনি ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য বস্তু হয়েছেন । কিন্তু পরম করুণাময়ের দয়া , পিতামাতার দোয়া ও জনগনের ভালোবাসায় দীর্ঘ তিন দশক তিনি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছেন এবং আমৃত্যু থাকবেন।


More News Of This Category
bdit.com.bd