• শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিলেটবাসীর জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই ——মাওলানা হাবিবুর রহমান সিলেট-১ আসনে মাওলানা হাবিবুর রহমানকে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা সাংবাদিকদের কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য করবেন না: বিএমএসএফ ঢাকায় অনুষ্টিতব্য সমাবেশ সফলে সিলেট জেলা যুবদলের ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা অতিরিক্ত আইজিপি হওয়ায় সহকর্মী সহ সভার ভালোবাসা এস এম পি কমিশনার শ্রমিক মজলিস সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার ২০২৫-২০২৬ সেশনের কমিটি গঠন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বুরহানউদ্দিন রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি আলিফ উদ্দিনের বিভক্তির রাজনীতি দেশের জন্য আত্মঘাতী হবে —মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম আমরা এমন এক সমাজ কায়েম করতে চাই, যেখানে কোন ভেদাভেদ থাকবে না- ডা.শফিকুর রহমান

একটি পরিপূর্ণ নিম গাছ প্রায় ১০ টন এসির সমপরিমাণ ঠান্ডা রাখে তার চারপাশের বাতাসকে

Reporter Name / ৪৪৬ Time View
Update : রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার: নিম গাছ পরিবেশগত ভাবে খুবই উপকারী । এটি খুব বেশি মাত্রার দূষণ সহ্য করতে পারে এবং শুষ্ক মৌসুমে পাতা পড়ে গেলেও সেগুলোতে তাড়াতাড়ি নতুন পাতা চলে আসে। নিম গাছের পাতা তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণে সীসা শোষণ করে। ধূলিকণা, কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার অক্সাইড এবং নাইট্রোজেনের মতো দূষক শোষণ করার ক্ষমতা নিম গাছের রয়েছে। ১৯৯৬ সালে আন্তর্জাতিকভাবে একটি সমীক্ষা ইঙ্গিত দেয় যে নিম গাছ শিল্প এলাকায় ও শহুরে দূষণ দূর করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রজাতিগুলির মধ্যে একটি এবং এটি পরিচিত হট স্পটগুলিতে সবুজ বেল্টের মত কাজ কর।

নিমের কার্বন ডাই-অক্সাইড ফিক্সেশন করার ক্ষমতা অন্যান্য গাছের তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি। এটি প্রতি সেকেন্ডে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ১৪ টি মাইক্রোমোল ( প্রতি বর্গ মিটার) ঠিক করতে পারে। নিম গাছের পত্র পৃষ্ট সর্বাধিক কার্বন ডাই-অক্সাইড ফিক্স করার জন্য একটি ভাল বিকল্প হিসেবে কাজ করে এবং অন্যান্য দূষণ উপাদানগুলির বিরুদ্ধে একটি ঢাল প্রদান করে বিশেষ করে সালফার ডাই-অক্সাইড। একটি পরিপূর্ণ নিম গাছ প্রায় ১০ টন এসির সমপরিমাণ ঠান্ডা রাখে তার চার পাশের বাতাসকে।

নিম আমাদের দেশীয় গাছ, আবহাওয়া উপযোগী এবং যে কোনো ধরনের মাটিতে জন্মে। নিম গাছ দ্রুত বর্ধণশীল, পানির স্তর ধরে রাখে, মাটির ক্ষয় ও মরুময়তা রোধ করে। নিমের তেল মানুষ, গরু ও পশুপাখির উকুননাশক এবং চর্মরোগ নিরোধক। নিমের তেল, খৈল ও পাতা প্রাকৃতিক কীট নিবারক ও সার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। নিমের কাঠ অধিক মূল্যবান, উন্নত মানের, স্বাস্ব্যকর ও পরিবেশসম্মত এবং এই কাঠ দিয়ে ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র তৈরি করা যায় যা উঁই, ঘৃণ আ অন্য পোকায় নষ্ট করে না।

নিম গাছ অন্যান্য গাছের চেয়ে বেশি অর্থকরি এবং পরিচর্যায় তেমন খরচ নেই। নিম বাড়ির আঙিনা, রাস্তাঘাট,হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতসহ সর্বত্র লাগানো যায়। নিম গাছের গন্ধে আশপাশের ফসলেও কীট-পতঙ্গ আসে না ! তাই ফসলের মাঠেও নিম গাছ লাগানো উপকারী। তুলনামূলকভাবে নিমের অথনৈতিক গুরুত্ব অন্যান্য কাঠ, ফল ও ঔষধী গাছ থেকে অনেক বেশি। নিমের পাতা হাম, বসন্ত, ঘা, খুজলি, পাঁচড়া ও চুলকানিতে ব্যবহার হয়। নিম গাছে রোগ-ব্যাধি হয় না এবং এই গাছ গরু-ছাগলে খায় না।

নিম গাছকে বিজ্ঞানীরা আগামী শতকের মহামূল্যবান বৃক্ষ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন এবং নিম গাছের তৈরি ওষুধ রাসায়নিক ওষূধের চেয়ে বেশি উপকারে আসবে বলে উল্লেখ করেছেন। ভারতের মতো দরিদ্র দেশে নিম অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

চলতি বর্ষা মৌসুমে বাড়ির খালি জায়গা, রাস্তার ধারে যার যার পছন্দ অনুযায়ী গাছ লাগানো প্রয়োজন। আসুন গাছ লাগাই, অক্সিজেনের ফাক্টরী গড়ে তুলি।


More News Of This Category
bdit.com.bd