সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহমুদ মুরাদ বলেছেন, যারা সাদাপাথর লুটপাট করেছে বা তাদের মদদ দিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আটক করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তা ছাড়া লুট হওয়া সাদাপাথর পুনরায় সেখানে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে সাদাপাথরে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। পাথর লুটের সাথে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে সাদাপাথর পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় সিলেট জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বুধবার থেকে যৌথবাহিনীর অভিযানে ১২০টি সাদাপাথর বোঝাই ট্রাক আটক করা হয়েছে। এই পাথরগুলোও সাদাপাথরে এনে প্রতিস্থাপন করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, লোকাল প্রশাসনের গাফিলতি থাকলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিদর্শনে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: নুরের জামান চৌধুরী, সিলেট জেলার এডিশনাল এসপি মতিউর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুননাহার প্রমুখ।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় সাদাপাথর থেকে লুটপাট করে নিয়ে আসা পাথর পুনরায় সাদাপাথর এলাকায় প্রতিস্থাপন করা শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। সন্ধ্যা থেকে তাদের এই অভিযান চলে ভোর পর্যন্ত। এদিন সিলেটের জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় পাথর লুটপাট ঠেকাতে লুট হওয়া সাদাপাথর প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে বলা হয়- লুটপাট হওয়া সাদাপাথর উদ্ধার করে পুনরায় আগের জায়গায় নিয়ে ফেলা হবে।
এ ছাড়াও এ সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়- সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্টে যৌথ বাহিনীসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে। পাথর চুরির সাথে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে চলে এ অভিযান। অভিযানে কালাইগর এলাকা থেকে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়। পরে এই পাথর নৌকা দিয়ে আবারো সাদাপাথর এলাকায় প্রতিস্থাপন করা হয়।